Loading...
Important Travel Tips

বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে ১০টি গুরুত্বপূর্ন টিপস

ভ্রমণ অধিকাংশের কাছেই খুব আনন্দদায়ক একটি বিষয়। অবসরের সময়ে ভ্রমণ কেই অবসর কাটানোর সবথেকে প্রথম উপায় বলে বেছে নেন অনেকেই। নতুনত্বের খোঁজেই মানুষের ভ্রমণের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি। প্রকৃতির খুব নিকটে পৌঁছানোই যেন এর মূল উদ্দেশ্য।

দেশ ভ্রমণ তো বটেই পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ খোঁজা ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

কিন্তু দেশ ভ্রমনের সাথে বিদেশ ভ্রমনের বিস্তর পার্থক্য আছে। দেশে ভ্রমন যতোটা না আরামপ্রদ এবং সহজ, বিদেশ ভ্রমণ ততোটাই জটিল ও কষ্টসাধ্য।
তবে, বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে এই দশটি টিপস জানা খুব-ই প্রয়োজন যা আপনার বিদেশ ভ্রমণকে করে তুলতে পারে আরামদায়ক ও নিশ্চিন্ত।

০১. To-Do List বানানো

প্রথমেই নির্বাচন করুন কোথায় যাবেন। সময় নিয়ে এই স্থান নির্বাচন করুন। কারণ এর সাথেই কানেক্টেড আছে আপনার সম্পূর্ণ ভ্রমণের ব্যয়, সময় এবং সে দেশের কোন কোন জায়গা ঘুরতে পারবেন সেসব বিষয়গুলো। ফলে বুঝতেই পারছেন এই লিস্টের গুরুত্ব। তাই ভাবনা চিন্তা করে ভ্রমণের স্থান নির্বাচন করুন।

এই লিস্টে যুক্ত করুন নির্বাচিত দেশের কোন কোন জায়গা গুলো আপনার পক্ষে ভ্রমণসাধ্য। আপনার বাজেটের মধ্যে যে জায়গা গুলো ঘুরতে পারবেন সেগুলো টুকে ফেলুন এই লিস্টে। আর হ্যাঁ, সময় নির্ধারণ ও এই স্টেজেই করতে হবে। অর্থাৎ কতদিন থাকবেন, অথবা কোন কোন জায়গা গুলোতে কতসময় করে কাটাবেন এইসব খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লিখে ফেলুন।

০২. পাসপোর্ট এবং ভিসা প্রসঙ্গ

যথাযথ উপায়ে আপনার পাসপোর্ট টি করিয়ে ফেলুন। বর্তমানে খুব সহজে, কম পরিশ্রম এবং ব্যয়ে পাসপোর্ট করানো যায়। আপনার নিকটস্থ ব্যাংক এবং পাসপোর্ট অফিসে খোঁজ নিলেই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

এবার আসা যাক ভিসা প্রসঙ্গে, সাধারণত ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্যুরিস্ট ভিসা ই গ্রহণযোগ্য। তবে এক্ষেত্রে আপনার নিজের তদারকিতে জেনে নিতে হবে ভিসার মেয়াদ, খরচ এবং পরিপূর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে। ভিসা প্রদানকারী অফিসের সাথে তাই নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন কিংবা যোগাযোগ করতে পারেন ভালো কোনো ট্রাভেল এজেন্সির সাথে। 

[ বিদেশে ভ্রমণকালীন সময়ে পাসপোর্ট এবং ভিসা সর্বদা নিজের কাছে রাখুন ]

০৩. মানি এক্সচেঞ্জ

যে দেশে যাবেন সে দেশের মুদ্রা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন, কারণ এই স্টেজে আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে কতটাকা খরচ করবেন ভ্রমনের সময়ে।

ফলে, মানি এক্সচেঞ্জ অফিসে গিয়ে যথাযথভাবে তথ্যাদি সংগ্রহ করে প্ল্যানমাফিক মানি এক্সচেঞ্জ করিয়ে নিতে পারেন। ভ্রমণের বিষয়ে নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে কিছুটা বেশি টাকা হাতে রাখা ভালো। বিপদ-আপদের কথা মাথায় রেখেই এরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা বিবেচকের কাজ।

০৪. হোটেল বুকিং

এবার আসা যাক হোটেল বুকিং এর বিষয়ে। আপনার থাকার জায়গা অবশ্যই পূর্বনির্ধারিত হতে হবে, তাই অনলাইনে হোক কিংবা পরিচিত কারো মাধ্যমে হোটেল বুকিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়াই আপনার জন্য উত্তম পন্থা।

হোটেল বুকিং এর পূর্বে কিছু সময় ব্যয় করুন। কারণ দেখা যায় ট্রাভেলিং সিজনে অনেক হোটেলই ছাড় দিয়ে থাকে ট্যুরিস্টদের জন্য। চেষ্টা করবেন আপনার ভ্রমণের জন্য নির্ধারিত জায়গার কাছাকাছি অবস্থিত হোটেলকে বেছে নিতে।

০৫. ব্যাকপ্যাক প্রস্তুত

খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেপটি। আপনার ব্যাকপ্যাকে কি কি রাখবেন আর কি রাখবেন না তা নির্ধারণের উপরে নির্ভর করছে আপনার ভ্রমণ কতোটা আরামদায়ক হবে আর কতোটা হবে না।

তাই ব্যাকপ্যাকে এমন কিছুই ক্যারি করবেন না যা আপনাকে দ্রুত ক্লান্ত করে ফেলে। সিজন অনুযায়ী পোশাক নির্ধারণ করুন, সাথে অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিকস যেমন- স্মার্টফোন, ক্যামেরা, পাওার ব্যাংক, হেডফোন ইত্যাদি রাখুন। তবে এক্ষেত্রে আপনার ফোন এবং ক্যামেরার ব্যাকআপ চার্জিং ব্যবস্থা থাকা ভালো। আপনাকে বিব্রতকর কোন মূহুর্ত থেকে এগুলো রক্ষা করবে।

০৬. স্বাস্থ্য সচেতনতা

অবশ্যই অসুস্থ শরীরে কিংবা নিজেকে শারিরীকভাবে কনফিডেন্ট লাগার আগে ভ্রমণের চিন্তাও মাথায় আনবেন না। এবং ভ্রমনের পূর্বে আপনার দরকারি ওষুধ পত্রের সাথে ফার্স্ট এইড বা বেসিক মেডিকিট সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। নিদৃষ্ট কোন রোগ থাকলে আপনার ডাক্তার কর্তৃক সাজেসটেড প্রেশক্রিপশন সাথে রাখতে পারেন।

০৭. নির্ধারিত দেশের নীতিসমূহ

পূর্বেই বলেছি নিজের দেশের সাথে বিদেশের বিস্তর পার্থক্য বিদ্যমান। তাই, যে দেশে যাচ্ছেন সে দেশের স্থানীয় নীতি, ট্রাফিক নীতি ইত্যাদি জেনে নিন। কারণ দেশের ভিন্নতায় রীতিনীতির ও যথেষ্ট ভিন্নতা আছে। নিজেকে বিপদে ফেলতে পারে এরকম আচরণ বর্জন করতে পূর্বেই এই সকল নীতি প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো জেনে নেওয়া ভালো।

০৮. গাইডবুক সংগ্রহ

উক্ত দেশের গাইডবুক সাথে রাখা আপনার জন্য নিরাপদ এবং কষ্টলাঘবের একটি ব্যাপার। বিভিন্ন রুট এবং রেস্তোরা সম্পর্কে জানতে এই গাইডবুক আপনাকে যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে।

তাছাড়া আপনি যে যে স্থানে ঘুরতে চান তার স্পষ্ট বর্ণনাও পেতে পারেন এই গাইডবুকে।

০৯. পরিবহণ নির্বাচন

আপনার ভ্রমণের জন্য পছন্দমতো এবং সুবিধামতো পরিবহণ নির্বাচন করুন। কারণ, অনেক সময়ই দেখা যায় অনেকের কাছে এয়ার ট্রাভেলিং বা বাস ট্রাভেলিং বিপত্তিজনক মনে হওয়ায় সেগুল এভয়েড করতেই চান তারা। তাই আগে জেনে নিন কি কি উপায়ে সে দেশে ভ্রমন করা যায়। তারপর নিজের সুবিধামতো পরিবহণ নির্বাচন করে যাত্রা শুরু করুন।

১০. ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ

সর্বশেষ টিপস হলো ট্রাস্টেড কোন ট্রাভেল এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করে তাদের প্যাকেজ গুলোতে চোখ বুলিয়ে নিজের পছন্দমতো ট্যুর প্যাকেজ নির্বাচন করা। এতে আপনার ভ্রমণের যাবতীয় দায়িত্ব তারাই কাঁধে তুলে নেবে ।

আপনার বিদেশ ভ্রমন সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আমাদের সাথে।

 

আশা করি উপরের টিপস গুলো পালন করার মাধ্যমে আপনার বিদেশ ভ্রমণ সহজ, সুখকর ও আরামপ্রদ হবে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা।

Add your comment:

{